ছবি: সংগৃহীত
কমবেশি সকলেরই জানা খালি পেট কিংবা ভরা পেট, সকাল কিংবা বিকেল, হাঁটলে শরীর ভালো থাকে। সকালের নরম রোদ্দুর গায়ে মেখে প্রকৃতির সান্নিধ্যে হাঁটার উপযোগিতা রয়েছে মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও। কিন্তু ব্যস্ত জীবন, রাত জাগার অভ্যাসের কারণে ভোরবেলা হাঁটতে বেরোনো অনেকের কাছেই কঠিন।
অতীতের গবেষণা বলছে, প্রতি দিন যদি কেউ ৭০০০ থেকে ১০০০০ পা হাঁটতে পারেন, তবে তাদের অসুস্থতার ঝুঁকি ৭২ শতাংশ কমে যায়। ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ২১১০ জনের স্বাস্থ্য এবং হাঁটার অভ্যাসের উপর নিয়মিত নজর রেখে ওই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিলেন গবেষকেরা। সেই গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছিল ‘জার্নাল অফ আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন’ (জামা)-এ।
কিন্তু সারা দিনে ১০ হাজার পা গুনে গুনে হাঁটা বা একটানা আধ ঘণ্টা হাঁটার জন্য সময় বার করা এই ব্যস্ততার যুগে সহজ কথা নয়। এ ব্যাপারে আশার আলো দেখাচ্ছেন ইটালির ইউনিভার্সিটি অফ মিলানের গবেষকেরা। তাদের সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, একটানা হাঁটার চেয়ে মাঝেমধ্যে কাজের ফাঁকে ১০ বা ৩০ সেকেন্ড হাঁটাহাঁটি ক্যালোরি খরচের ক্ষেত্রে বেশি কার্যকর হয়। একে বলা হচ্ছে ‘মাইক্রো ওয়াকিং’।
আরো পড়ুন : ঝগড়ায় বাড়ে ভালোবাসা, কতটুকু সত্যি!
এই সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে কয়েক জনকে কয়েক মিনিট হাঁটানো হয়। বাকিদের সেকেন্ডের হিসাবে হাঁটতে বলা হয়। গবেষকরা লক্ষ করেন, যাঁরা ১০ বা ৩০ সেকেন্ডে হেঁটেছেন কয়েক মিনিটের হাঁটার চেয়ে তাঁদের ক্যালোরি খরচ হচ্ছে অন্তত ৬০ শতাংশ বেশি। ইংল্যান্ডের রয়্যাল সোসাইটির ‘বায়োলজিক্যাল সায়েন্স’ জার্নালে গবেষক ফ্র্যান্সিসকো লুসিয়ানো এবং তার সহকর্মীরা বলছেন, সময় ভাগ করে হাঁটায় দৈনন্দিন জীবনে স্বাস্থ্যের উপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে, দৈনিক এনার্জি বা শক্তির খরচও এতে বেশি হচ্ছে। গাড়ির ক্ষেত্রে তেল খরচের উদাহরণ তুলে তিনি বলছেন, স্বল্প দূরত্বের যাত্রায় যেমন গাড়ির তেল খরচ বেশি হয়, অথচ দীর্ঘ এবং দ্রুত গতির যাত্রায় তেল খরচ অনেকটাই কমে যায়, বিষয়টি ঠিক তেমন।
সূত্র : আনন্দবাজার
এস/ আই.কে.জে