শনিবার, ১৮ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩রা কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ‘জুলাই যোদ্ধা’ নামে ফ্যাসিস্ট বাহিনী বিশৃঙ্খলা করেছে: সালাহউদ্দিন *** শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো এলাকায় আগুন, ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক *** ৯ নম্বর, সহজেই সমাধান করা যাবে: পাকিস্তান-আফগান যুদ্ধ প্রসঙ্গে ট্রাম্প *** ৪৫ বছর ছদ্মবেশে বিলাসী জীবন, অবশেষে বিচারের মুখে গুম-খুনের হোতা *** ত্রিপুরায় পিটুনিতে নিহত তিন বাংলাদেশিকে ‘চোরাকারবারি’ বলল ভারত *** জাতীয়ভাবে লালন উৎসব উদযাপন অব্যাহত থাকবে: মোস্তফা সরয়ার ফারুকী *** নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনায় বসার প্রধান উপদেষ্টার আহ্বানে রাজি বিএনপি *** জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করার যে ব্যাখ্যা দিল এনসিপি *** হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া *** স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র থাকছে জুলাই সনদে, স্পষ্ট হলো নোট অব ডিসেন্ট

অদ্ভুত নিয়ম নিয়ে এল ক্রিকেটের নতুন সংস্করণ—টেস্ট টোয়েন্টি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০১:১১ অপরাহ্ন, ১৮ই অক্টোবর ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

একটাই খেলা, ক্রিকেট। অথচ কতভাবে যে খেলা যায় সেটা, কতভাবে যে খেলা হচ্ছে! এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেরই আছে তিনটি সংস্করণ—টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি। এর সঙ্গে খেলা হচ্ছে ১০ ওভারের টি-টেন, ১০০ বলের দ্য হানড্রেড, সিক্স আ সাইড ক্রিকেটও। পৃথিবীর আর কোনো খেলার এতগুলো সংস্করণ আছে কি না, সেটাও গবেষণার বিষয় হতে পারে।

এসবের সঙ্গে এবার যোগ হচ্ছে টেস্ট টোয়েন্টি নামের নতুন এক সংস্করণ। নতুন এ সংস্করণের ধারণা নিয়ে এসেছেন ক্রীড়া উদ্যোক্তা ও দ্য ওয়ান ওয়ান সিক্স নেটওয়ার্কের নির্বাহী চেয়ারম্যান গৌরব বহিরবানি।

তার এই উদ্যোগের সঙ্গে এরই মধ্যে যুক্ত হয়েছেন ক্রিকেটের চার কিংবদন্তি—ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক অধিনায়ক স্যার ক্লাইভ লয়েড, অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ওপেনার ম্যাথু হেইডেন, ভারতের সাবেক স্পিনার হরভজন সিং ও দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স। এই চারজনই আছেন এই প্রকল্পের উপদেষ্টা পরিষদে।

এটি মূলত টেস্ট আর টি-টোয়েন্টির মিশ্রণ। ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সী তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য বানানো হয়েছে টেস্ট টোয়েন্টি। এখানে ২০ ওভারের দুটি করে ইনিংস খেলবে প্রতিটি দল। সাদা পোশাকে, লাল বলে, এক দিনেই শেষ হবে ম্যাচ। অর্থাৎ প্রতিটি ম্যাচ হবে ৮০ ওভারের। টেস্টের মতো এখানেও প্রথম ইনিংসের স্কোর যোগ হবে দ্বিতীয় ইনিংসে। ফল হতে পারে জয়, হার, টাই কিংবা ড্র।

প্রতিটি দল একটি মাত্র পাওয়ারপ্লে নিতে পারবে, প্রথম বা দ্বিতীয় ইনিংস—যখন খুশি। ৪ ওভার স্থায়ী এই পাওয়ারপ্লেতে ৩০ গজ বৃত্তের বাইরে থাকতে পারবে মাত্র দুই ফিল্ডার। যদি দ্বিতীয় ইনিংসের সপ্তম ওভারের মধ্যে অধিনায়ক পাওয়ারপ্লে কখন নেবেন সেই সিদ্ধান্ত না জানান, তাহলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সপ্তম থেকে দশম ওভার পর্যন্ত চলবে পাওয়ারপ্লে।

প্রথম ইনিংস শেষে যদি পরে ব্যাট করা দল ৭৫ বা এর বেশি রানে পিছিয়ে থাকে, আগে ব্যাট করা দলের অধিনায়ক ফলোঅন করাতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে পরে ব্যাট করা দলটিকে সঙ্গে সঙ্গেই আবার ব্যাটিংয়ে নামতে হবে।

যদি কোনো দল প্রথম ইনিংসে ১০ ওভারের আগে অলআউট হয়, তবে তাদের অব্যবহৃত ওভারের মধ্য থেকে ৩ ওভার যোগ হবে প্রতিপক্ষের ইনিংসে। যেমন, দল ‘এ’ যদি ৭ ওভারে গুটিয়ে যায়, তবে দল ‘বি’ প্রথম ইনিংসে খেলবে ২৩ ওভার (২০+৩)।

পুরো ম্যাচে সর্বোচ্চ পাঁচজন বোলার ব্যবহার করা যাবে। প্রত্যেক বোলার দুই ইনিংস মিলিয়ে সর্বোচ্চ ৮ ওভার বল করতে পারবেন। এক ইনিংসে ৬ ওভার, অন্য ইনিংসে ২ ওভার—যেভাবেই ভাগ করা হোক, মোট ৮ ওভারের বেশি নয়।

জে.এস/

টেস্ট টোয়েন্টি

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250