শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মায়েরা নিজের জন্য সময় বের করবেন যেভাবে

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন, ১২ই মে ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

একজন মায়ের সন্তানের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি আরও নানা কাজ সামলাতে হয়। এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে তার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর। বিষণ্ণতা, অবসাদ কিংবা ক্লান্তি ঘিরে ধরে মাকে। মায়ের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রভাব কিন্তু পড়ে সন্তানের উপরেও। তাই নিজের জন্য খানিকটা সময় বের করা খুব জরুরি। চলুন জানা যাক মায়েরা নিজের জন্য সময় বের করবেন যেভাবে-

নিজের যত্ন নিন, শখের কোনও কাজ করুন। এতে সুখী হরমোন নিঃসরণ করে যা আপনাকে ফুরফুরে রাখে। ভাবছেন এত কিছু সামলে নিজের জন্য সময় বের করা কি আদৌ সম্ভব? উত্তর হচ্ছে হ্যাঁ, সম্ভব। ভারতীয় চিকিৎসক ও  মোটিভেশনাল স্পিকার জয় মাদান কিছু উপায় বাতলে দিয়েছেন। 

সর্বপ্রথম ধ্যান বা মেডিটেশন করার পরামর্শ দেন জয়। এতে মানসিকভাবে ঝরঝরে থাকতে পারবেন। ভালো থাকবে শরীরও। সুস্থ শরীর ও মন নিয়ে সন্তানদের সঙ্গে খুব সহজেই সমন্বয়মূলক সম্পর্ক গড়ে তোলা সম্ভব। 

বড় কাজগুলোকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে নিন এবং কাজের সময়সীমা নির্ধারণ করুন। কাজের ভার একা না নিয়ে অন্য কারোর সাহায্য নিন। সম্ভব হলে একজন সাহায্যকারী রাখুন। প্রযুক্তি এবং আধুনিক যন্ত্রের আশ্রয় নিন যা আপনার কাজের চাপ কমায়। 

ভোরে ওঠার অভ্যাস করুন। এতে অনেকটুকু সময় বেশি পাবেন। সন্তান ছোট হলে চেষ্টা করুন সে ঘুম থেকে ওঠার আগেই কিছু কাজ শেষ করে রাখতে।

আরো পড়ুন : মাকে ভালোবাসার দিন—বিশ্ব মা দিবস আজ

ঘরের কাজ পরিবারের সবাইকে নিয়ে করুন। এতে একা হাতে সব করার ঝক্কি পোহাতে হবে না। সময় বাঁচবে অনেকটাই। 

সময় কম ব্যয় হয় এমন খাবার রান্না করুন। সহজ রেসিপি অনুসরণ করলে রান্নাঘরে অধিক সময় কাটানোর হাত থেকে নিস্তার পাবেন। 

শিশুদের নিয়ে মাঝে মাঝে কিছুক্ষণের জন্য বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করুন। এটি দৈনন্দিন জীবনের ব্যস্ততা থেকে একটি বিরতি দেবে আপনাকে। পার্কে হাঁটাহাঁটি করা, খোলা কোনও স্থানে শিশুদের সঙ্গে সময় কাটানো আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। 

চেষ্টা করুন শিশুরা জেগে থাকতে থাকতে ঘরের কাজ শেষ করার। এতে শিশু যখন ঘুমাবে তখন আপনিও বিশ্রাম নিতে পারবেন। 

মনে রাখবেন, প্রতিটি মা-ই তার সন্তানের জন্য সর্বোচ্চটা করার চেষ্টা করেন। আপনিও আপনার সেরাটাই দিচ্ছেন সন্তানকে। ফলে নিজেকে দেওয়া সময় নিয়ে কোনোভাবেই অপরাধবোধে ভুগবেন না। মনে রাখবেন, আপনি নিজে সুস্থ না থাকতে পারলে সুস্থভাবে সন্তানকে বড় করা সম্ভব নয়।  

এস/ আই.কে.জে/


মা ও শিশু নিজের যত্ন

খবরটি শেয়ার করুন