প্রতীকী ছবি (সংগৃহীত)
তেলাপোকার দুধের কথা শুনে অনেকেই নাক সিঁটকাচ্ছেন তাই না? এটাই স্বাভাবিক। তবে তেলাপোকার দুধ নাকি সুপারফুড হিসেবে পরিচিত ! চলুন জানা যাক তেলাপোকার দুধের ব্যাপারটা আদতে কী? সে বিষয়ে কী বলছে গবেষণা?
সাধারণত তেলাপোকা ও এর লম্বাটে ডিমই আমাদের চোখে পড়ে। ডিম ফুটে বেরোয় তেলাপোকার বাচ্চা। তবে তেলাপোকার একটি বিশেষ প্রজাতি বাচ্চা প্রসব করে। আর শিশু তেলাপোকার পুষ্টির চাহিদা মেটে মা তেলাপোকার দুধে। মা তেলাপোকার দেহ থেকে নিঃসৃত এই দুধ ক্রিস্টাল বা স্ফটিকের আকার ধারণ করে। এই দুধ নিয়ে হয়েছে গবেষণা।
কী আছে তেলাপোকার দুধে
তেলাপোকার দুধে আছে প্রোটিন বা আমিষ, শর্করা, স্নেহ পদার্থ, কিছু ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। এই দুধে যে আমিষ আছে, তাতে মানুষের জন্য অত্যাবশ্যকীয় সব কটা অ্যামাইনো অ্যাসিড পাওয়া যায়। অর্থাৎ এটা প্রথম শ্রেণির আমিষ। মানবদেহের জন্য উপকারী ফ্যাটি অ্যাসিড আছে এতে। এসব বিবেচনা করে কেউ কেউ একে ‘সুপারফুড’ ভেবে নিতে পারেন।
আরো পড়ুন : কুলবরই নাকি সাধারণ বরই, স্বাস্থ্যের জন্য কোনটা ভালো?
এক গ্লাস দুধের জন্য
মানুষের জন্য এই খাবারের জোগান দিতে হলে বহু তেলাপোকার মৃত্যুর দায়ভার নিতে হবে মানুষকেই। কারণ, মানুষের জন্য দুধের জোগান দিতে বহু মা তেলাপোকাকে হত্যা করে তাদের দেহ থেকে দুধ সংগ্রহ করতে হবে। আর মা তেলাপোকার মৃত্যু হলে দুধের অভাবে শিশু তেলাপোকাও মারা পড়বে। কেবল এক গ্লাস দুধের জন্য হাজার হাজার তেলাপোকার মৃত্যু ঘটানো নৈতিক ও পরিবেশগত দিক থেকে ঠিক কি না, সেটিও এক বড় প্রশ্ন।
এই দুধ কি নিরাপদ?
তবে পশুপাখি থেকে পাওয়া আমিষের বিকল্প হিসেবে পতঙ্গ থেকে আমিষ গ্রহণের ব্যাপারে কিন্তু বিজ্ঞানীরা আরও গবেষণা করেছেন। অর্থাৎ তেলাপোকাই একমাত্র পতঙ্গ নয়, যাকে পুষ্টির জন্য হত্যা করার কথা ভাবা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক চলতেই পারে। আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, মানুষের জন্য এই দুধ নিরাপদ কি না, সেটিই এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি বিজ্ঞানীরা।
ভালো দিক, মন্দ দিক
তেলাপোকার দুধের ভালো দিক হলো, এতে ল্যাকটোজ নেই। গবাদিপশুর দুধে থাকা ল্যাকটোজ যাদের সয় না, অর্থাৎ যাদের ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স আছে, তাদের জন্য তেলাপোকার দুধ ভালো বিকল্প হতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। অবশ্য যদি তা মানুষের জন্য নিরাপদ হয়। তবে এই দুধে ক্যালরির পরিমাণ বেশি। তাই নিয়মিত এই দুধ খেলে ওজন বাড়ার ঝুঁকি থাকবে।
সূত্র: হেলথলাইন
এস/কেবি
খবরটি শেয়ার করুন