ছবি : সংগৃহীত
আমাদের চারপাশের পৃথিবীটাকে আমরা নিজের মতো করে দেখতেই ভালোবাসি। এই ভালোবাসা ততক্ষণ ভালো যতক্ষণ না তাতে সম্পর্কের ক্ষতি হচ্ছে। ‘আমার আমার’ করতে করতে ‘আমাদের’ ভুলে গেলেই বিপত্তি। মনের সুপ্ত হিংসুটে ভাবটা কখন যে আপনার সম্পর্কে ঘুণ ধরাতে শুরু করবে, নিজেই বুঝতে পারবেন না। হিংসুটে মনকে হালকা চালে নেবেন না। তাকে বশে রাখতে শিখুন। এর জন্য বেশ কয়েকটি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হয়। তাই চলুন জানা যাক ভালবাসার সম্পর্ক রক্ষার্থে কোন বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন?
আত্মসমীক্ষা করতে শিখুন। সঙ্গীর ভুল ধরার আগে নিজে ভেবে দেখুন আপনি তার পরিস্থিতিতে থাকলে কী করতেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাবে আপনিও হয়তো একই কাজ করতেন। আপনি আপনার সবচেয়ে ভালো বন্ধু। তাই নিজেকে বন্ধুর মতোই বোঝান। আবার ভুল মেনে নিতেও জানতে হবে।
আরো পড়ুন : হাঁটুর ব্যথার মহৌষধ ঢ্যাঁড়স, জানুন আর আছে কী কী গুণ?
অনেক সময় হিংসা মনের ভিতরে এতটাই প্রভাব বিস্তার করে ফেলে মানুষ বুঝতেই পারে না সে কী করছে, কেনই বা তা করছে। এই রকম পরিস্থিতি তৈরি হলে কাছের এমন কোনও মানুষের কাছ থেকে পরামর্শ নিন, যাঁকে আপনি বিশ্বাস করতে পারবেন আর যিনি আপনার সম্পর্কের বিষয়ে খুব ভালোভাবে জানেন। আপনি যে ফাটল দেখতে পাচ্ছেন না, তা ওই ব্যক্তি অনায়াসেই দেখতে পাবেন। কারণ তিনি তৃতীয় ব্যক্তি।
‘বিশ্বাসে মিলায় বস্তু।’ নিজের অবিশ্বাসকে অকারণে একদম পাত্তা দেবেন না। আবার নিজেকেও অবিশ্বাস করবেন না। প্রয়োজন হলে নিজের সম্পর্কের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটা সমীক্ষা করুন। দেখবেন বিশ্বাসের অনেক কারণ খুঁজে পাবেন অতীতের সুন্দর মুহূর্তে। এমন হলে ঈর্ষার আর কোনও স্থানই থাকবে না।
হিংসে রাগের অন্যতম কারণ। আর রাগ হচ্ছে সম্পর্কের সবচেয়ে বড় শত্রু। অনেক ক্ষেত্রে ঘরোয়া হিংসারও কারণ। রাগের মাথায় কখন যে জীবনের সবচেয়ে বড় ভুলটি করে বসবেন ভাবতেও পারবেন না। তাই রাগ হলে নিজেকে সময় দিন। তার পর বিরক্তি কমলে ভাবুন আদৌ কি আপনার অবিশ্বাসের জায়গাটি যুক্তিযুক্ত? যদি তা নয় তাহলে তো হিংসারও কারণ নেই। হিংসাকে প্রশ্রয় না দিয়ে বরং নিজের ভাবনা চিন্তাকে উন্নত করুন। তাতেই ভালো থাকবেন।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
এস/ আই.কে.জে/
খবরটি শেয়ার করুন