বুধবার, ৩রা জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কম খরচে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে যা করবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০২:৫২ অপরাহ্ন, ৩০শে জানুয়ারী ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

দিন দিন জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলেছে। ক্ষুধা মেটানোর পাশাপাশি পুষ্টির জোগান দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। মধ্যবিত্তের আয়ের অর্ধেকের বেশি চলে যায় বাড়ি ভাড়াতে। সেখানে নিয়ম মেনে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া কষ্টকর। তার জন্য অবশ্য কেউ না খেয়ে থাকবে না।

পরিবারে সবার সুস্থতার জন্য পুষ্টির ঘাটতি দূর করা জরুরি। তার জন্য প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনার, কিভাবে অল্প বাজেটে পুষ্টিকর খাবারের তালিকা করা যায়? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১. খাদ্য তালিকা থেকে অতিরিক্ত খরচ কমানো সম্ভব। যদি তা আগে থেকে পরিকল্পনা করা যায়। পরিবারের সঙ্গে বসে সাপ্তাহিক খাদ্য তালিকা তৈরি করুন । এতে সবার জানা থাকবে পরবর্তী দিনগুলোতে কী কী থাকবে। এর কয়েকটি সুবিধাও আছে। যেমন- খাবার নষ্ট হবে না। অপচয় কম হবে। এ ছাড়া যেহেতু সবাই জানে তালিকায় কী কী আছে, সেক্ষেত্রে যখন-তখন অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকবে।

২. কিছু জিনিস একসঙ্গে কিনে রাখা ভালো। যেমন- পুরো সপ্তাহে এক ডজন ডিমের প্রয়োজন। তো আপনি প্রতিদিন ১/২ টা করে কিনলে এতে খরচ বেশি হয়। এর থেকে ভালো একসঙ্গে কিনে নেওয়া। এতে কিছুটা সাশ্রয় করা সম্ভব। আবার সহজপাচ্য জিনিস বেশি কিনে রাখা যাবে না। সেগুলো নষ্ট হওয়ার ভয় থাকে। তাই খরচ কমাতে বুঝে-শুনে পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।

আরো পড়ুন : মুড়ি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না খারাপ?

৩. মৌসুমি ফল ও সবজি কেনার চেষ্টা করুন। এতে বাজার খরচ কিছুটা কমানো সম্ভব। মৌসুমে ভালো ফলন হওয়া সবজি খাদ্য তালিকায় রাখার চেষ্টা করুন। যেমন- শীতে দেশি সবুজ শাকসবজির ভালো ফলন হয়। এ সময় বিদেশি সবজির পরিবর্তে দেশি সবজি খাদ্যতালিকায় রাখুন। কোনো সবজি বা ফলের দাম বেশি হলে তা কেনা থেকে বিরত থাকুন। পরিবর্তে সে ফল বা সবজির পরিপূরক কিছু খুঁজে বের করুন।

৪. দীর্ঘ সময়ের জন্য কোথাও গেলে হালকা খাবার তৈরি করে নিন। কারণ, রেস্টুরেন্টগুলোতে খাবারের মূল্য বেশি হওয়ায় অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়। এ ছাড়া স্কুল বা অফিসের জন্য বাড়ি থেকেই খাবার বানিয়ে নিন। এতে অতিরিক্ত খরচ কমার পাশাপাশি পুষ্টির বিষয়টিও নিশ্চিত করা যাবে।

৫. বাড়ির ছাদে বা বারান্দায় ফল ও শাকসবজির গাছ লাগাতে পারেন। যেমন- বাজার থেকে আনা ধনিয়াপাতা, পুঁইশাক, পালংশাক ও লালশাকের গোঁড়া না ফেলে টবে লাগিয়ে রাখুন। এরপর নিয়মিত পানি দিন। কিছুদিন পরেই দেখবেন গাছগুলো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। এভাবে আপনি চাইলে বাড়িতে সবজির চাষ করে খরচ বাঁচাতে পারেন। এ ছাড়া এটি আপনার পরিবারের সবার পুষ্টির ঘাটতি কমাতেও সহায়তা করবে।

এস/ আই. কে. জে/ 

টিপস স্বাস্থ্যকর খাবার

খবরটি শেয়ার করুন