শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রতিদিন ভালো থাকতে করুন এই ৭ কাজ

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:৫২ অপরাহ্ন, ২৭শে মার্চ ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

জীবনের সবকিছুই একটু ভালো থাকাকে ঘিরে। নিজেকে ভালো রাখার জন্য আমরা অনেক সময় অনেক কষ্ট করতেও রাজি। তবু দিন শেষে নিজেকে সুস্থ ও সুন্দর দেখতে চাই। কিন্তু আমাদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নানা ধরনের রোগ, শোক এসে চারপাশে ভিড় করে। এত সবকিছুর মাঝেও নিজেকে ভালো রাখতে হবে। কারণ নিজে ভালো থাকলেই কেবল অন্যদের ভালো রাখা সহজ হবে। প্রতিদিনের সহজ কিছু কাজ আপনাকে ভালো থাকতে সাহায্য করবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু কাজ-

১. নিয়মিত ব্যায়াম

ব্যায়াম তারুণ্য ধরে রাখার কার্যকরী উপায়। নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ পেশী শক্তি, নমনীয়তা এবং কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি এন্ডোরফিন উৎপাদনকেও উৎসাহিত করে, যা মেজাজ উন্নত করে এবং মানসিক চাপ কমায়। সপ্তাহের বেশিরভাগ দিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট মাঝারি ব্যায়ামের লক্ষ্য রাখুন। হাঁটা, সাঁতার বা যোগব্যায়ামের মতো ক্রিয়াকলাপগুলো উপভোগ্য এবং উপকারী উভয়ই হতে পারে।

২. সুষম খাদ্য

ফল, শাকসবজি, চর্বিহীন প্রোটিন এবং দানা শস্য সমৃদ্ধ একটি সুষম খাদ্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে যা ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরে সর্বোত্তমভাবে কাজ করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার, যেমন ব্লুবেরি, পালং শাক এবং টমেটো অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে বার্ধক্যজনিত লক্ষণগুলোর সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করতে পারে।

আরো পড়ুন : অনলাইনে ঈদের কেনাকাটায় যেসব ভুল করবেন না

৩. হাইড্রেশন

ত্বক এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য হাইড্রেটেড থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পানি শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে, ত্বককে আর্দ্র রাখে এবং বিভিন্ন শারীরিক কাজে সাহায্য করে। দিনে কমপক্ষে ৮ গ্লাস পানি পান করার লক্ষ্য রাখুন। অতিরিক্ত হাইড্রেশন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জন্য ভেষজ চা পান করতে পারেন।

৪. স্কিনকেয়ার রুটিন

একটি ভালো স্কিনকেয়ার রুটিন তারুণ্যময় ত্বক বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে। ত্বক পরিষ্কার করা, ময়েশ্চারাইজিং এবং সূর্য থেকে ত্বককে রক্ষা করা অপরিহার্য। ইউভি রশ্নির ক্ষতি রোধ করতে প্রতিদিন সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন এবং ত্বকের অতিরিক্ত সুরক্ষার জন্য রেটিনয়েড বা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো অ্যান্টি-এজিং পণ্য ব্যবহার করতে পারেন।

৫. পর্যাপ্ত ঘুম

শরীরের মেরামত এবং পুনরুজ্জীবনের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম অপরিহার্য। ঘুমের অভাবে অকাল বার্ধক্য, মানসিক চাপ বৃদ্ধি এবং একটি দুর্বল ইমিউন সিস্টেমের সমস্যা হতে পারে। প্রতি রাতে ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমের লক্ষ্য রাখুন। এতে পরদিন ভোরে সতেজ হয়ে জেগে উঠতে পারবেন।

৬. স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট

দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে পারে, সেইসঙ্গে ডেকে আনতে পারে আরও অনেক শারীরিক-মানসিক সমস্যা। ধ্যান, গভীর শ্বাস বা যোগের মতো কৌশল অনুশীলন করলে তা চাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করতে পারে। স্ট্রেস কমালে তা আপনাকে শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতা নিশ্চিতে সাহায্য করবে।

৭. সামাজিক অংশগ্রহণ

সক্রিয় এবং সামাজিক জীবন বজায় রাখুন। ইতিবাচক সামাজিক মিথস্ক্রিয়া চাপ কমাতে পারে, সুখের অনুভূতি বাড়াতে পারে এবং জীবনে উদ্দেশ্য এনে দিতে পারে। সম্পর্কগুলোকে লালন করুন, বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের জন্য সময় দিন এবং এমন ক্রিয়াকলাপে নিযুক্ত হোন যা আপনাকে আনন্দ দেয়।

এস/ আই.কে.জে/ 

টিপস স্বাস্থ্য পরামর্শ

খবরটি শেয়ার করুন