রবিবার, ৩রা আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** পাকিস্তানের সামরিক বহরে অ্যাটাক হেলিকপ্টার, ঘুরে দেখলেন আসিম মুনির *** শেখ হাসিনার দুঃশাসনের বিরুদ্ধে অধ্যাপক ইউনূস একটি কথাও বলেননি: মেজর (অব.) হাফিজ *** বরিশালের কোচ হলেন মোহাম্মদ আশরাফুল *** যেভাবে চীনা ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ভারতের অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে পাকিস্তান *** আমেরিকার তুলায় তৈরি পোশাক রপ্তানিতে কিছুটা শুল্ক ছাড় পাবে বাংলাদেশ: বিজিএমইএ *** চুক্তি হয়ে গেলে আমেরিকার অনুমতি সাপেক্ষে গোপনীয়তার বিষয়টি প্রকাশ করা হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা *** বৃত্তি পরীক্ষা আর্থিক প্রণোদনা হিসেবে কাজ করবে *** ৩ বিভাগে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস *** মায়ামির সঙ্গে কী নতুন চুক্তি করবেন মেসি, যা বলছেন কোচ *** ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে

কিশোর কুমার যে কারণে জাতীয় পুরস্কার পাননি

বিনোদন ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০২:৩৫ অপরাহ্ন, ২রা আগস্ট ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের ৭১তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে গতকাল ১লা আগস্ট। দীর্ঘ তিন দশকের বেশি সময় বলিউডে কাজ করার পর এবারই প্রথম জাতীয় পুরস্কার পাচ্ছেন বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান ও রানী মুখার্জি। বিষয়টি ভক্তদের জন্য বেশ অবাক করার মতো। কারণ, এত বছর কাজ করার পরও তাদের মতো তারকারা জাতীয় পুরস্কার পাননি—এ নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন।

তবে জানেন কি, কিশোর কুমার, ধর্মেন্দ্র, রাজেশ খান্না, দেব আনন্দ ও মধুবালার মতো কিংবদন্তিরা কখনো জাতীয় পুরস্কার পাননি? এর মধ্যে কিশোর কুমার একবার এই পুরস্কার পাওয়ার দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছিলেন, কিন্তু শেষ মুহূর্তে বাধা হয়ে দাঁড়ায় দুর্নীতি। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের। 

ভিকি লালওয়ানিকে ইউটিউবে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কিশোরপুত্র অমিত কুমার জানান, তার বাবা ১৯৬৪ সালের ছবি ‘দূর গগন কি ছাঁও মে’র জন্য জাতীয় পুরস্কারের বিবেচনায় এসেছিলেন। সেই ছবিতে তিনি নিজেই নায়ক, পরিচালক ও সুরকার ছিলেন। ছবিটিতে শিশু চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অমিত কুমার নিজেই। তবে ঘুষের প্রস্তাব পেয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন তিনি।

অমিত কুমারের ভাষ্য অনুযায়ী, ‘তখন দিল্লি থেকে মন্ত্রণালয়ের একজন ফোন করে বলেন, “হকিকত”, “দোস্তি” আর “দূর গগন কি ছাঁও মে”—এই তিনটি ছবির মধ্য থেকে একটি বেছে নেওয়া হবে পুরস্কারের জন্য। বাবাকে বলা হয়, “আপনি যদি কিছু করেন, কিছু দেন, তাহলে আমরা বিষয়টা ঠিক করে নিতে পারি।”’

অমিত এরপর বলেন, ‘বাবা সঙ্গে সঙ্গে বিরক্ত হয়ে বলেন, “আমার পেছনে কেন লেগেছেন? আমার ছবি ব্যবসায়িক সফলতা পেয়েছে। এসব করতে আমি রাজি নই।”’

‘দূর গগন কি ছাঁও মে’ তখন মুম্বাইয়ের সুপার সিনেমায় টানা ২৩ সপ্তাহ চলেছিল। পরে কিশোর কুমার ছবিটির রিমেক রাইটস বিক্রি করে দেন দক্ষিণ ভারতের এক নির্মাতার কাছে। ওই তামিল রিমেক ‘রামু’ পরে জাতীয় পুরস্কার জিতে নেয়!

শুধু জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার নয়, পদ্মশ্রী থেকে অন্য কোনো জাতীয় পুরস্কারও কিশোর কুমার পাননি। জাতীয় পুরস্কার না পেলেও কিশোর কুমার ভারতের আরেক জনপ্রিয় পুরস্কার ফিল্মফেয়ার পেয়েছেন তার ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চবার। ২৮ বার মনোনয়নের সঙ্গে পুরুষ প্লেব্যাক গায়ক হিসেবে আটবার পেয়েছেন এ পুরস্কার।

কিশোর কুমার ছিলেন এক বহুমাত্রিক প্রতিভা—গায়ক, অভিনেতা, পরিচালক ও সুরকার। তার ‘নৌকরি’ (১৯৫৪), ‘চলতি কা নাম গাড়ি’ (১৯৫৮), ‘পড়োসন’ (১৯৬৮) ও ‘হাফ টিকিট’–এর (১৯৬২) মতো সিনেমা আজও দর্শকের মনে গেঁথে আছে। ১৯৮৭ সালের ১৩ই অক্টোবর মুম্বাইতে মারা যান কিশোর কুমার। জাতীয় পুরস্কার না পেলেও কোটি ভক্তের ভালোবাসা তাকে দিয়েছে চিরস্থায়ী স্বীকৃতি।

জে.এস/

কিশোর কুমার

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন