ছবি: সংগৃহীত
কমবেশি সকলেরই জানা হাঁটাহাটি করা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আর নিয়মিত ১০ হাজার স্টেপ হাঁটার উপকারিতা সম্পর্কে তো সবাই অবগত। তবে প্রতিদিন এতগুলো স্টেপ হাঁটা সবার পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠে না। কর্মব্যস্ততার কারণে এই সময় বের করা অনেকের কঠিন হয়ে পড়ে। তবে এবার আর নয় চিন্তা কারণ ১০ হাজার স্টেপ হাঁটার উপকারিতা মিলবে মাত্র ১০ মিনিটের এই ব্যায়ামে!
সম্প্রতি একটি গবেষণা থেকে জানা যায়, প্রতিদিন মাত্র কয়েক মিনিটের জন্য সিঁড়ি বেয়ে উঠেই পেতে পারেন ১০ হাজার স্টেপ হাঁটার সমান উপকার! প্রতিদিন মাত্র পাঁচতলা বা ৫০ স্টেপ সিঁড়ি বেয়ে উঠলেই হৃদরোগের ঝুঁকি ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো সম্ভব।
গবেষকদের মতে, যারা শারীরিক অনুশীলনের জন্য বেশি সময় বের করতে পারেন না, তাদের জন্য এটি অত্যন্ত কার্যকর পন্থা হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে।
গবেষণাটিতে ড. লু উল্লেখ করেছেন, ছোট ছোট সিঁড়ি বেয়ে ওঠা কার্ডিও রেসপিরেটরি ফিটনেস আর লিপিড প্রোফাইল উন্নত করার একটি কার্যকর উপায়। এই গবেষণায় সিঁড়ি বেয়ে ওঠাকে হৃদরোগের বিরুদ্ধে একটি প্রাথমিক প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে বেশ জোর দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন : শীত শেষে গরম কাপড় তুলে রাখবেন যেভাবে
হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো ছাড়াও সিঁড়ি বেয়ে ওঠার রয়েছে আরও বেশ কয়েকটি উপকারিতা। এটি একটি অত্যন্ত কার্যকর কার্ডিওভাসকুলার ব্যায়াম, যা হৃদপিণ্ডের পাশাপাশি ফুসফুসকে ভালো রাখতেও সাহায্য করে। ফলে শরীরের স্ট্যামিনা, এনার্জি এবং সামগ্রিক সুস্থতা বৃদ্ধি পায়। এ ছাড়া সিঁড়ি বেয়ে ওঠার সময় শরীরের পেশীগুলো সক্রিয় হয়, যা শরীরের গঠন এবং শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক।
যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্যও এটি বেশ উপকারী একটি পন্থা। সিঁড়ি বেয়ে ওঠার সাহায্যে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। কারণ সিঁড়ি বেয়ে উঠলে অল্প সময়েই অনেক ক্যালোরি বার্ন হয়। মাধ্যাকর্ষণের বিপরীতে শরীরের ওজন তোলার কারণে পায়ের পেশীও শক্তিশালী হয় এবং শরীরের ভারসাম্য বজায় থাকে।
সিঁড়ি বেয়ে উঠার প্রধান উপকারিতাগুলো হলো-
১. প্রতিদিন মাত্র ৫০ স্টেপ সিঁড়ি বেয়ে উঠলেই হৃদরোগের ঝুঁকি ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।
২. হাঁটার তুলনায় সিঁড়ি বেয়ে উঠলে অল্প সময়েই ব্যায়াম করা যায়। এর জন্য বাড়তি কোনো সময় বের করতে হয় না।
৩. ভারী কোনো ব্যয়াম ছাড়াই প্রতিদিন সিঁড়ি বেয়ে উঠলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
সূত্র: হেলথ শটস
এস/কেবি