বৃহস্পতিবার, ২০শে নভেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৫ই অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** সশস্ত্র বাহিনীর সমর্থনে দ্রুত সংকট উত্তরণ সম্ভব হয়েছে: প্রধান উপদেষ্টা *** অজিত দোভালকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানা‌লেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা *** নভেম্বরের ১৮ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৯০৪ মিলিয়ন ডলার *** ফেসবুকে তারেক রহমানকে ‘কটূক্তি’র অভিযোগে মামলার আবেদন *** কারাগারে পছন্দের খাবার না পেয়ে বন্দির মামলা *** আন্তর্জাতিক কার্ড দিয়ে কেনা যাবে বিমান টিকিট *** সিপিবির মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু আগামীকাল *** শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে সামরিক বাহিনীর সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা *** আমরা ট্রানজিশনাল পিরিয়ডে আছি, একটা দোলাচল চলছে: মির্জা ফখরুল *** ‘খাসোগি হত্যার বিষয়ে' কিছুই জানতেন না সৌদি যুবরাজ: ট্রাম্প

আচার কেন খাবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৫:৫৫ অপরাহ্ন, ১০ই সেপ্টেম্বর ২০২৩

#

ছবি-সংগৃহীত

আচার শব্দটি শুনলে প্রথমেই আপনার নিশ্চয়ই ছোটবেলার কথা মনে পড়ে? শৈশবে আমরা প্রায় সবাই মা-চাচিদের শুকাতে দেওয়া আচার থেকে চুরি করে খেয়েছি। লুকিয়ে আচার আনতে গিয়ে হঠাৎ ধরা পড়ে গেলে খিলখিল করে দুষ্টুমির হাসি হেসেছি।

তাই আচার শব্দটির সঙ্গে আমাদের স্মৃতি জড়িয়ে থাকে। প্রিয়জনের জন্য ভালোবেসে আচার তৈরি করে রাখা, প্রিয় কোনো খাবারের সঙ্গে একটুখানি আচার মিশিয়ে খাওয়ার স্মৃতিও রয়েছে অনেকেরই।

আমাদের দেশে বিভিন্ন উপাদান দিয়ে বিভিন্ন ধরনের আচার তৈরি হয়। মুখের রুচি বাড়াতে দারুণভাবে কাজ করে সেসব আচার। বেশিরভাগ আচারই তৈরি হয় টক স্বাদের বিভিন্ন ফল দিয়ে।

বৃষ্টির দিনে গরম গরম খিচুড়ির সঙ্গে একটুখানি আচার কিংবা অসুখের কারণে কারও মুখের রুচি চলে গেলে তাকে আচার খেতে দেওয়ার অভ্যাস আমাদের রয়েছে। এই আচার খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনই এর রয়েছে অনেক গুণ। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

আরো পড়ুন: দুধ ও মধু একত্রে পান করা কি স্বাস্থ্যকর?

আচার তৈরি করার সময় তাতে তেল বা ভিনেগার দেওয়া হয়। ফল বা সবজির আচার তৈরির ক্ষেত্রে তেল বা ভিনেগারের সঙ্গে বিক্রিয়া করে ল্যাকটিক, সাইট্রিক ও অ্যাসেটিক তৈরি করে। এই তিন অ্যাসিডই শরীরের জন্য বেশ উপকারী।

এই তিন অ্যাসিড শরীরের ভেতর শক্তিশালী ও সক্রিয় করে তোলে উপকারী মাইক্রোবসদের। এই মাইক্রোবস অন্ত্রে কাজ করে। যে কারণে আচার খেলে হজমশক্তি বাড়ে, মেটাবলিজম ভালো হয় এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রিত থাকে।

আচারে থাকে প্রচুর পুষ্টি। সেসব পুষ্টি সহজেই ভেঙে দিতে পারে ফ্যাটকে। আচার তৈরির সময় যেসব মসলা ব্যবহার করা হয় তা আমাদের হজমে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে চর্বিও ভেঙে দিতে পারে দ্রুত। যে কারণে ভাত, খিচুড়ি, রুটি বা পরোটার সঙ্গে আচার খেলে মুখের রুচিও ফিরে আসে।

আচারে থাকে উপকারী প্রোবায়োটিক। এই প্রোবায়োটিক খাবার হজম করতে সাহায্য করে। আচারে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কিছু ব্যাকটেরিয়াও থাকে। তাই ডায়ারিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাতে কাজ করে এই খাবার। যারা প্রায় সময়েই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভোগেন তাদের জন্য আচার হতে পারে উপকারী একটি খাবার।

শুধু শরীর নয়, মন ভালো রাখতেও দারুণভাবে কাজ করে আচার। আপনার যদি মাঝে মাঝেই মন খারাপ হয়, তাহলে একটুখানি আচার নিয়ে খেতে পারেন। কারণ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত আচার খেলে মন ভালো থাকে। সেইসঙ্গে কমে উদ্বেগ। তাই দুশ্চিন্তামুক্ত থাকার জন্য নিয়মিত আচার খেতে পারেন।

এসি/  আই.কে.জে


আচার

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250