বৃহস্পতিবার, ৯ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৪শে আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** থেমেছে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান–কামানের গর্জন, ২ বছর পর শান্তির ঘুমে গাজাবাসী *** জামায়াতে ৪৩ শতাংশ নারী—এটা খুশির খবর, কিন্তু তাদের দেখা যায় না: শারমীন মুরশিদ *** তহবিলসংকটের কারণে এক-চতুর্থাংশ শান্তিরক্ষী কমাচ্ছে জাতিসংঘ *** খালেদা জিয়ার সেফ এক্সিটের দরকার পড়েনি: রিজভী *** পক্ষপাতের জন্য গণমাধ্যম মালিক-সম্পাদকদের ক্ষমা চাওয়া উচিত: উপদেষ্টা মাহফুজ *** শাপলা না দিলে ধানের শীষ বাতিল করতে হবে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী *** শহিদুল আলমসহ নৌবহর থেকে আটক ব্যক্তিদের কারাগারে বন্দী করেছে ইসরায়েল *** সরিয়ে নেওয়া হলো এনবিআরের সদস্য সেই বেলাল চৌধুরীকে *** গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রস্তুতি শুরু করেছে ইসরায়েল *** জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর হবে ১৫ই অক্টোবর

পায়ে কেন পানি আসে?

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:৪৫ অপরাহ্ন, ২৯শে অক্টোবর ২০২৩

#

ছবি: সংগ্রহিত

হঠাৎ করেই পা ফুলে ঢোল হয়ে গেছে। পায়ে পানি আসলে এমন হতে পারে। মেডিক্যালের ভাষায় এই সমস্যাটির নাম ‘ইডিমা’। ইডিমা শরীরের যেকোনো অংশে হতে পারে। তবে এটি সাধারণত পায়ের গোড়ালি এবং পায়ে দেখা যায়। 

অনেকেই এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। আতঙ্কিত হওয়ার যৌক্তিক কারণও রয়েছে। কেননা সুস্পষ্ট কারণ ছাড়াই যেমন পায়ে পানি আসতে পারে, তেমনি আবার জটিল কোনো রোগের উপসর্গ হিসেবেও এটি ঘটতে পারে।

পায়ে পানি জমলে প্রাথমিকভাবে যেসব কারণ মনে করা হয় সেগুলো হলো- হৃদ্‌যন্ত্রের কার্যকারিতা কমে যাওয়া, লিভার অথবা কিডনির সমস্যা, থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা, অপুষ্টি, নানা রকম ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। গর্ভকালীন অবস্থায় পায়ে পানি আসতে পারে। গর্ভাবস্থায় পা ফোলাটা খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়।

চলুন জেনে নিই পায়ের ফোলা কমানোর কিছু কার্যকরী ঘরোয়া উপায় -

লবণ কম খাওয়া: প্রতিদিনের খাবারে লবণের পরিমাণ কমিয়ে দিন। পাতে আলাদা লবণ খাবেন না; অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার, যেমন প্রক্রিয়াজাত খাবার, সসেজ, তৈরি (রেডিমেড) নুডলস, চিপস, ফাস্ট ফুড পরিহার করুন। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন দৈনিক ২ হাজার ৩০০ মিলিগ্রামের বেশি লবণ খেতে নিরুৎসাহিত করেছে। আরও ভালো হয় যদি ১ হাজার ৫০০ মিলিগ্রামে সীমাবদ্ধ থাকতে পারেন।

ফুট বাথ: পায়ে পানি জমলে ফুট বাথ নিতে পারেন। ফোলা পা একবার গরম পানিতে, আরেকবার ঠান্ডা পানিতে ডুবিয়ে রাখুন। এতে পায়ে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। গরম পানিতে ৩-৫ মিনিট ও ঠান্ডা পানিতে ৩০-৬০ সেকেন্ড পা ডুবিয়ে রাখুন। ১৫-২০ মিনিট ধরে প্রক্রিয়াটি পুনরাবৃত্তি করুন। দিনে কয়েকবার করুন।

পা উঁচু করে রাখা: ঘুমানোর সময় পা বালিশের ওপর রাখুন। বসা বা শোয়া অবস্থায় পা হার্ট লেভেলের ওপরে রাখলে ফোলা কমে যাবে।

ব্যায়াম: পায়ের মাংসপেশি ব্যবহার করলে তরল সরে গিয়ে ফোলা কমে যায়। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করলে পায়ের ফোলা প্রতিরোধ হতে পারে। ব্যায়াম করতে কষ্ট হলে বা ব্যথা লাগলে সাঁতার কাটার মতো নন-ওয়েট-বিয়ারিং এক্সারসাইজ করতে পারেন।

শর্করা: শর্করাজাতীয় খাবার কম খেলে অনেক সময় উপকার পাওয়া যায়।

পানি পান: প্রতিদিন আট গ্লাস বা আরো বেশি পানি পান করলে পায়ের ফোলা কমতে পারে ও প্রতিরোধ হতে পারে।

এছাড়া কোনো স্পষ্ট কারণ ছাড়াই পা ঘনঘন ফুলে গেলে অথবা ফোলা না কমলে প্রকৃত কারণ শনাক্ত করতে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

তথ্যসূত্র: হেলথ

এস/ আই. কে. জে/

ঘরোয়া উপায় পায়ে পানি

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250