ছবি : সংগৃহীত
কর্মব্যস্ত এই জীবনে রান্নার কাজ যতটা কম সময়ে সারা যায়, ততই ভালো। চটজলদি রান্নার জন্য অনেকেই প্রেশার কুকারের ওপর ভরসা করেন। তবে মনে সংশয় থাকে, এতে খাবারের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায় কিনা তা নিয়ে।
অনেকেই মনে করেন, প্রেশার কুকারে রান্না করা খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আসলে কি এই ধারণা ঠিক? চলুন জানা যাক আসল সত্য-
সম্প্রতি ‘সায়েন্স অব ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার’ নামে একটি মার্কিন স্বাস্থ্য বিষয়ক পত্রিকায় এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, প্রেশার কুকারে রান্না করলে খাবারের লেক্টিনের মাত্রা কমে যায়। এমনটা হলে কী কী সমস্যা হতে পারে?
লেক্টিন হলো একটি বিশেষ ধরনের প্রোটিন। কার্বোহাইড্রেটের সঙ্গে মূলত এই প্রোটিন বন্ধনে থাকে। অনেক খাবারেই এই উপাদানটি থাকে। প্রেশার কুকারে রান্না করলে এর মাত্রা কমে যেতে পারে।
আরো পড়ুন : যেভাবে পেঁয়াজ ছাড়াই রান্না হবে সুস্বাদু খাবার
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই লেক্টিন একটি ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান। এটি খাবারের পুষ্টিগুণ নষ্ট করে দিতে সক্ষম। অর্থাৎ, এদিক থেকে বিচার করলে প্রেশার কুকারে রান্না করলে খাবারের পুষ্টিগুণ বজায় থাকে ষোলআনা। বরং বলা যায়, এতে খাবারের পুষ্টিগুণ বাড়ে। শরীর বেশি পুষ্টি পায়।
তবে প্রেশারে কুকারে রান্নার একটি খারাপ দিকও আছে। অধিকাংশ প্রেশার কুকার অ্যালোমিনিয়ামের তৈরি। বিশেষজ্ঞদের মতে, অত্যাধিক গরম হয়ে গেলে প্রেশার কুকারের অ্যালোমিনিয়ামের রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটাতে পারে। এতে পুষ্টিগুণ নষ্ট হওয়া আশঙ্কা থাকে।
অনেকের মতে, ইদানীং অনেক প্রেশার কুকারই অ্যালোমিনিয়ামের তৈরি নয়। এগুলো লোহা বা মিশ্র ধাতু দিয়ে তৈরি হয়। যা খাবারের পুষ্টিগুণে তেমন প্রভাব ফেলে না। এমন প্রেশার কুকারে রান্না করলে সমস্যা অনেকটাই কমে যায়।
সবমিলিয়ে বলা যায়, ভালোমানের প্রেশার কুকার হলে আপনি তাতে রান্না করতেই পারেন। এতে গ্যাস আর সময় দুটোই বাঁচবে।
এস/ আই.কে.জে/
খবরটি শেয়ার করুন