ছবি: সংগৃহীত
মাছের ডিম খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। শুধু স্বাদ নয়, মাছের ডিম পুষ্টিগুণেও সেরা। এতে রয়েছে নানা উপকারী উপাদান। বেশ কিছু রোগ দূর করতেও মাছের ডিমের তুলনা নেই। তবে এমন অনেকে আছেন যাদের মাছের ডিম খাওয়া উচিত নয়।
ভারতীয় পুষ্টিবিদ ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায় গণমাধ্যম ‘এই সময়ের’ এক প্রতিবেদনে মাছের ডিমের নানা উপকারিতার কথা বলেছেন। মাছের ডিমে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন বি১২, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাসের মতো নানা উপকারী উপাদান রয়েছে। এ কারণে মাছের ডিম খেলে অনেক ধরনের রোগের ঝুঁকি কমে।
ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, নিয়মিত মাছের ডিম খেলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়-
১. এতে উপস্থিত ডিএইচএ উপাদান শিশুদের মস্তিস্ক বিকাশে সহায়তা করে
২. মাছের ডিমে উপস্থিত ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড হৃৎপিণ্ড ও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে
৩. এতে থাকা অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান ক্রনিক অসুখ কমায়
৪. মাছের ডিম খেলে হাড় ও দাঁত ভালো থাকে
৫. গবেষণায় দেখা গেছে, স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে উপকারী মাছের ডিম
৬. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে মাছের ডিমের কোনও জুড়ি নেই
পুষ্টিবিদ ঈশানী জানান,সব ভালোরই কিছু খারাপ দিক থাকে। মাছের ডিমও এর ব্যতিক্রম নয়। মাছের ডিম খাওয়ার কারণে কিছু অসুখও হতে পারে। ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায়ের ভাষায়,মাছের ডিম সোডিয়ামের ভাণ্ডার। এ কারণে এই ডিম নিয়মিত খেলে উচ্চ রক্তচাপ বাড়ার ঝুঁকি থাকে। এছাড়া এতে অনেকটা পরিমাণে কোলেস্টেরল রয়েছে। সেই কোলেস্টেরল ক্ষতিকর এলডিএল বাড়াতে পারে। ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।
কারা খাবেন, কারা খাবেন না
কোনও অসুখ না থাকলে নির্দ্বিধায় মাছের ডিম খেতে পারেন। এতে তেমন কোনও সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা নেই। তবে কারও উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল বা হৃদরোগজনিত জটিলতা থাকলে অবশ্যই এই খাবার পরিমিত আকারে খেতে হবে। তা না হলে নানা ধরনের রোগের আশঙ্কা বাড়তে পারে। তারা মাসে দু’বার মাছের ডিম খেতে পারেন। আর যাদের কোনও অসুখ নেই, তারাও সপ্তাহে দুইবারের বেশি মাছের ডিম খাবেন না।
রান্নায় বেশি তেল নয়
সাধারণত মাছের ডিম ভালো করে ধুয়ে নিয়ে তেলে ভেজে রান্না করা হয়। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না, বেশি তেলে ভাজলে মাছের ডিম থেকে খুব একটা উপকার মেলে না। তাই এক্ষেত্রে কম তেলে মাছের ডিম ভাজতে হবে।
আরো পড়ুন: মাছের মাথা খেলে কি সত্যিই বুদ্ধি বাড়ে?