ছবি: সংগৃহীত
শরীর সুস্থ রাখার জন্য সঠিক নিয়মে জীবনযাপন করা জরুরি। তবে কর্মব্যস্ত জীবনে সবার পক্ষে তা করা সম্ভব হয় না। অনেকেই শরীরচর্চা এমনকি সঠিক নিয়মে খাওয়া-দাওয়ারও সময় পান না। ফলে শরীরে নানা রোগ বাসা বাঁধে।
আসলে সবারই নিজ স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন হওয়া জরুরি। কারণ এমন অনেক কঠিন রোগ আছে, যেগুলো ধরা পড়ে না সহজে। তারপর যখন ধরা পড়ে, ততক্ষণে দেরি হয়ে যায় অনেকটাই। তাই নিজের চেকআপ যদি নিজের হাতেই থাকে, তাহলে অনেকেরই সুবিধা হয়।
যদি বিগত কয়েকদিন ধরেই আপনি অসুস্থ বোধ করেন কিংবা শরীরে কোনো রোগ বাসা বেঁধেছে বলে সন্দেহ হয় তাহলে ঘরে বসেই মাত্র ৩০ সেকেন্ডে একটি পরীক্ষা করতে পারেন
জেনে নিন এমন কিছু ঘরোয়া পরীক্ষা, যার মাধ্যমে জানতে পারবেন শরীর সুস্থ আছে কি না। এই পরীক্ষা ঘরে বসেই মাত্র ৩০ সেকেন্ডে করতে পারবেন-
হাতের তালু ও আর্টেরিওস্কলোরোসিস এর পরীক্ষা
এই পরীক্ষা করার সময়ে আপনার আঙুলগুলোকে মুঠো করে নিন। তারপর হাতের মুঠো শক্ত করে চেপে ধরুন। এই অবস্থায় ঠিক ৩০ সেকেন্ড অপেক্ষা করুন। তারপর ধীরে ধীরে হাত ছেড়ে দিন।
হাতের মুঠো ছেড়ে দেওয়ার পরে লক্ষ্য করুন, তালু আগের চেয়ে কিছুটা সাদা হয়ে গেছে। এটি রক্ত প্রবাহ কমে যাওয়ার কারণে হয়। এবার কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে তারপর হাতের তালুর দিকে লক্ষ্য করুন।
আরো পড়ুন : শীতের শুরুতে বৃষ্টি, সুস্থ থাকতে যা করণীয়
হাতের তালু স্বাভাবিক রঙে ফিরে যেতে কতটা সময় লাগলো তা দেখুন। যদি এ সময়ে আপনি অসাড় বোধ করেন বা রক্ত ফিরে আসতে বেশিক্ষণ লাগে, তা হলে এটি আর্টেরিওস্কলোরোসিসের লক্ষণ হতে পারে। এটি এমন এক অবস্থা, যেখানে হৃৎপিণ্ড থেকে শরীরের বাকি অংশে অক্সিজেন ও পুষ্টি বহনকারী রক্তনালীগুলো পুরু ও শক্ত হয়ে যায়। ফলে নানা সমস্যার তৈরি হয়।
পাঁচ আঙুলে পাঁচ সমস্যার পরীক্ষা
পরবর্তী পরীক্ষার জন্য মাত্র ৫ সেকেন্ডই যথেষ্ট। এটি করার জন্য এক হাত দিয়ে অন্য হাতের নখের গোড়া চেপে ধরুন। আগের পরীক্ষার মতোই এক্ষেত্রেও নখ সাদা হয়ে যেতে পারে। তবে এই পরীক্ষার পরে রক্ত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে ৩ সেকেন্ডের বেশি সময় লাগে না। এক্ষেত্রে যদি আঙুলে ব্যথা ও অস্বস্তি অনুভব করেন, তাহলে তা হতে পারে-
১. বুড়ো আঙুলে ব্যথা শ্বাসকষ্টের সংকেত দিতে পারে।
২. তর্জনী কোলন বা পাচনতন্ত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্যার ইঙ্গিত দেয়।
৩. মধ্যমা কার্ডিওভাস্কুলার সমস্যার লক্ষণ বলতে পারে।
৪. অনামিকায় সমস্যা হলে তা হৃৎপিণ্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে।
৫. অবশেষে ক্ষুদ্রতম আঙুল অর্থাৎ কনিষ্ঠা অন্ত্রের সমস্যার সঙ্গে যুক্ত হতে পারে।
এই পরীক্ষায় প্রতিটি আঙুল শরীরের বিভিন্ন অংশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত থাকার কারণে সেসব প্রত্যঙ্গে নানা অনিয়ম শনাক্ত করতে সক্ষম।
দুই পায়ের সঙ্গে কোমর ও পেটের পরীক্ষা
এই পরীক্ষার জন্য মেঝেতে টানটান হয়ে শুয়ে পড়ুন। দুই হাত দুই দিকে থাকুক মেঝের ওপরে উপুড় করে রাখা। মেরুদণ্ড একেবারে সোজা রাখুন। এবার ধীরে ধীরে আপনার দুটো পা একসঙ্গে ওপরে তুলুন।
আপনি যদি ৩০ সেকেন্ডের জন্য এই অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হন, তাহলে সমস্যা নেই। তবে ৩০ সেকেন্ড না ধরে রাখতে পারলে বুঝবেন, আপনার পেট অথবা মেরুদণ্ডের নীচের অংশে কিছু সমস্যা থাকতে পারে।
সূত্র: ডি ইন্ডিয়া
এস/ আই. কে. জে/
খবরটি শেয়ার করুন