ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার জ্যাক ক্রলি (বাঁয়ে) ও বেন ডাকেট - ছবি: সংগৃহীত
নাটকীয়তা জমে উঠেছে অ্যাশেজের তৃতীয় টেস্টেও। হেডিংলির লিডসে এই ম্যাচটি জয়ের দারুণ সম্ভাবনা রয়েছে ইংল্যান্ডের। এই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারলে সিরিজে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হবে তাদের। পারবে কী বেন স্টোকসের দল?
হেডিংলিতে জিততে হলে এখনও স্বাগতিক ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ২২৪ রান। আর ২ টেস্ট হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিতে হলে অস্ট্রেলিয়াকে এর মধ্যে ইংলিশদের ১০ উইকেটের পতন ঘটাতে হবে। টেস্টের বাকি এখনও পুরো ২টি দিন (৬ সেশন)। সুতরাং, বলাই যায় ইংল্যান্ডের জন্য দারুণ সুযোগ এই টেস্ট জয়ের জন্য।
গত তিনদিনে বৃষ্টির কারণে ৬০ ওভারের খেলা ভেস্তে গেলো। এরপরও তৃতীয় দিন অস্ট্রেলিয়ার উপর চাপ বাড়িয়ে নিলো ইংলিশরা। দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়াকে ২২৪ রানে বেধে ফেলে ব্রড, ওকস আর মার্ক উডরা। যার ফলে জয়ের জন্য দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ২৫১ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায় স্বাগতিকদের সামনে।
তৃতীয় দিনের শেষ সেশনে ব্যাট করতে নেমে দারুণ সমস্যায় পড়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররা। ইংলিশ পেসার ক্রিস ওকস, মার্ক উড ও স্টুয়ার্ট ব্রডের বোলিংয়ে একের পর এক উইকেট পড়তে থাকে। মাত্র ২১ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার বাকি ৬ উইকেটের পতন ঘটে।
২৫১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল করেছে ইংল্যান্ড। তৃতীয় দিন শেষে ইংল্যান্ডের রান বিনা উইকেটে ২৭। ৯ রান নিয়ে জ্যাক ক্রাউলি এবং ১৮ রান নিয়ে ব্যাট করছেন বেন ডাকেট। টেস্ট জিততে এখনও ২২৪ রান করতে হবে বেন স্টোকসদের। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার দরকার ১০ উইকেট।
হেডিংলেতে তৃতীয় দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। সে হিসেবে খেলা শুরু হওয়ার আগেই বৃষ্টি শুরু হয়। প্রথমে মনে হয়েছিল, বেশিক্ষণ বৃষ্টি হবে না; কিন্তু যত সময় গড়াল তত বৃষ্টির দাপট বাড়ল। এরফলে প্রথমে মধ্যাহ্নভোজ ও এরপর চা বিরতি সময়ের আগেই নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন আম্পায়াররা।
দ্বিতীয় সেশনের শেষ দিকে বৃষ্টি থামে। ফলে খেলা শুরু হয়। যদিও এক সেশনের বেশি খেলা হল না। তার মধ্যেই দাপট দেখালেন ইংল্যান্ডের পেসাররা। দ্বিতীয় দিনের শেষে অপরাজিত ছিলেন ট্রাভিস হেড ও মিচেল মার্শ। প্রথম ইনিংসে শতরান করা মার্শ দ্বিতীয় ইনিংসে বড় রান করতে পারলেন না। ২৮ রান করে ওকসের বলে আউট হলেন তিনি। বল মার্শের গ্লাভসে লেগে উইকেটরক্ষক জনি বেয়ারস্টোর কাছে যায়। ক্যাচ ছাড়েননি তিনি।
নিয়মিত ব্যবধানে উইকেটে হারাতে থাকে অস্ট্রেলিয়া। অ্যালেক্স ক্যারে, মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স রান পাননি। ক্যারেকে আউট করেন ওকস। স্টার্ক ও কামিন্সের উইকেট নেন উড। আট উইকেট পড়ে যাওয়ায় দলের রানকে টেনে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব ছিল ট্রাভিস হেডের। সে কাজটাই করছিলেন তিনি। আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলছিলেন। দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করছিলেন। প্রতি ওভারে বড় শট নিচ্ছিলেন। যে কারণে হাফ সেঞ্চুরিও করে ফেলেন দ্রুত। হেডকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন টড মারফি।
অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসকে ২০০ পার করান হেড। মারফি ১১ রান করে ব্রডের বলে আউট হলেও হেড থামেননি। উডের এক ওভারে জোড়া ছক্কা মারেন। শেষ পর্যন্ত ব্রডের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হন হেড। তিনি করেন ৭৭ রান। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস শেষ হয় ২২৪ রানে। ইংল্যান্ডের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে তিনটি করে উইকেট নেন ব্রড এবং ওকস। দু’টি করে উইকেট নেন উড ও মইন আলি।
আরো পড়ুন: ভালো ক্রিকেট খেললে ভালো ফল পাব :জ্যোতি
তৃতীয় দিনের শেষে মাত্র পাঁচ ওভারের জন্য ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। এরমধ্যে ইংল্যান্ডের উইকেট নেওয়ার চেষ্টা করে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম থেকেই স্টার্ক ও কামিন্স ঠিক জায়গায় বল রাখছিলেন। কয়েকটি বলে সমস্যাও হয় ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার বেন ডাকেট ও জ্যাক ক্রাউলির। কিন্তু নিজেদের উইকেট ধরে রাখেন তারা। সেই সঙ্গে খারাপ বল পেলে শট খেলছিলেন। তৃতীয় দিনের শেষে ইংল্যান্ডের রান বিনা উইকেটে ২৭।
এম/