ছবি : সংগৃহীত
অনেকেই ঠান্ডা আবহাওয়ায় গোসল করার কথা ভাবতেই শিহরিত হন। এ কারণে অনেকেই দুদিন কিংবা তিন দিন অন্তর গোসল করেন, আবার কেউ কেউ শুধু শরীর মুছে ফেলেন।
যদিও প্রতিদিন গোসলের অনেক উপকার আছে, তবে শীতকালে গোসল না করলে কি খুব ক্ষতি হয়? শীতকালে গোসল না করারও কয়েকটি উপকার আছে। বিশেষজ্ঞের মতে, গোসল না করলেও আমাদের ত্বক নিজস্ব নিয়মে নিজেকে পরিষ্কার রাখে। এই প্রক্রিয়ায় কোনো বাধা আসে না। তাই গোসল না করলেও খুব বেশি ক্ষতি হয়ে যায় না।
ত্বকের উপর শুধুই ময়লা থাকে তা নয়। বরং বেশ কিছু ব্যাকটেরিয়াও থাকে। গোসল করলে ময়লা-জীবাণুর পাশাপাশি ত্বকে থাকা ভালো ব্যাকটেরিয়াগুলোও ধুয়ে যায়। এতে ত্বকের অনেকটা ক্ষতিই হয়।
শীতে বেশিরভাগ মানুষই গরম পানিতে গোসল করেন। এতে করে ত্বকে যতটুকু তেল উৎপন্ন হয়, তা ধুয়ে যায়। আবার ঠান্ডা পানি ব্যবহার করলেও বিপত্তি ঘটে। এতে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে যারা একান্তই গোসল করতে পারবেন না তাদের উচিত কয়েকটি কাজ অবশ্যই করা। যেমন-
আরো পড়ুন : অর্গানিক খাদ্য কতটা অর্গানিক, জানেন কি?
জামাকাপড় বদলানো
নিয়মিত জামাকাপড় বদলাতে হবে। গোসল না করলেও কাপড় বদলে ফেলতে হবে। এতে কমবে চর্মরোগের ঝুঁকি।
ভেজা কাপড় বা তোয়ালে দিয়ে গা মুছুন
নিজেকে পরিষ্কার রাখাই আসল উদ্দেশ্য। তাই নিয়মিত গা স্পঞ্জ করে নেওয়া যেতে পারে। এতে আলাদা করে গোসল করতে হয় না।
ধুলাবালি থেকে এলে গোসল জরুরি
সারাদিন যদি আপনি ঘরেই থাকেন, তাহলে গোসল না করলেও হয়, তবে বাইরে বের হলে বা ধুলাবালি থেকে ফিরে যত দ্রুত পারবেন গোসল সেরে নিন।
হালকা গরম পানির ব্যবহার
গোসলের সময় অতিরিক্ত গরম পানির বদলে ঠান্ডা-গরম পানি মিশিয়ে ব্যবহার করুন। খুব গরম জল হলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।
বাইরের তাপমাত্রা কম হলে আর গোসল করতে ভয় পেলে সপ্তাহে অন্তত দু’দিন গোসল করা জরুরি। তবে একটানা ১০-১৫ দিন গোসল না করে থাকার অভ্যাস মোটেও ভালো নয় বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
সূত্র: এবিপি লাইভ
এস/ আই. কে. জে/