ছবি: সংগৃহীত
চলতি বছর জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠান তিন দিনব্যাপী কুমিল্লার দৌলতপুরে অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় কবির স্মৃতিবিজড়িত ঢাকা, ময়মনসিংহের ত্রিশাল, মানিকগঞ্জের তেওতা ও চুয়াডাঙ্গার কার্পাসডাঙ্গায় জন্মবার্ষিকী উদযাপন হবে।
চট্টগ্রামে নজরুল মেলা, নজরুল বিষয়ক আলোচনা ও জাঁকজমকপূর্ণ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নজরুল জন্মবার্ষিকীর আয়োজন হবে। দৌলতপুরে মূল অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করবেন অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান। খবর বাসসের।
নজরুল জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার (৮ই মে) সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে একথা জানানো হয়েছে।
এবার জন্মবার্ষিকীর প্রতিপাদ্য ‘দুহাজার চব্বিশের গণ অভ্যুত্থান: কাজী নজরুলের উত্তরাধিকার।’ আগামী ২৫শে মে সকালে সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ও সচিব ঢাকায় কবির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
দিবসটি উপলক্ষে ঢাকায় সব সড়কদ্বীপে এবং অন্যান্য জেলায় জাতীয় কবির ছবি, কবিতা, পরিচিতি ও চিত্রকর্ম প্রদর্শন করা হবে। অন্যান্য জেলায় স্থানীয় নজরুল গবেষক বা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সুধিজনের সহযোগিতায় কমিটি গঠন করে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদ্যাপন করা হবে।
এ উপলক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তরে আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে। এছাড়া শিশু একাডেমি শিশুদের নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোতেও দিবসটি উদ্যাপন করা হবে।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা অনুষ্ঠান, রচনা ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইন্সটিটিউট কবিকে বর্তমান প্রজন্মের সঙ্গে পরিচিত করার লক্ষ্যে কবির ছবি, পোস্টার ও বই প্রদর্শনী এবং গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর বই প্রদর্শনী, পাঠ প্রতিযোগিতা ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে। দিবসটি পালন উপলক্ষে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও শিল্পকলা একাডেমি ৬০০ স্মরণিকা ও ২০ হাজার পোস্টার মুদ্রণ করবে।
এইচ.এস/
খবরটি শেয়ার করুন