ছবি: সংগৃহীত
আপনি কি জানেন, যে কফি খেয়ে আপনি ক্লান্তি দূর করেন, সেই কফি আসলে বিড়াল কিংবা হাতির মল থেকে তৈরি হতে পারে? শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। কফির জগতে এমন দুটি অসাধারণ প্রক্রিয়ায় তৈরি কফি রয়েছে, যা শুধু স্বাদে নয় বরং এর উৎপাদন প্রক্রিয়ায়ই লুকিয়ে আছে এক অদ্ভুত পদ্ধতি। এমন দুটি কফি হলো কপি লুয়াক ও ব্ল্যাক আইভোরি কফি, যা বিশ্বের অন্যতম দামি ও অনন্য কফি হিসেবেও বিবেচিত।
ব্ল্যাক আইভরি, এই কফিটি উওর থাইল্যান্ডের। যা তৈরি হয় হাতির মল থেকে। হাতির খাবারের সঙ্গে কফির বিনস মিশিয়ে দেয়া হয়। হাতির হজমশক্তি এই কফির বিনসকে মসৃণ করে এবং সুগন্ধ বাড়িয়ে তোলে। খাবার খাওয়ার ১৫-১৬ ঘণ্টা পর হাতি মলত্যাগ করে। এরপর সেই মল বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় পরিশুদ্ধ করে ব্ল্যাক আইভরি কফি তৈরি করা হয়ে থাকে।
কপি লুওয়াক কফি, ইন্দোনেশিয়ায় প্রতি পাউন্ড এই কফি বা লুওয়াক ৬০০ ডলারে বিক্রি করা হয়। লুওয়াক এক ধরনের বিড়াল জাতীয় প্রাণী। যার লেজ বানরের মতো। লুওয়াকের মল থেকে তৈরি হয় পৃথিবীর এই অন্যতম দামি কফি। কফি তৈরির জন্যই এই প্রাণীগুলোকে আলাদাভাবে রাখা হয়। এদেরকে কফি বাগানে ছেড়ে দিলে এরা সবচেয়ে ভালো ফলগুলো গিলে খায়। যখন এরা মলত্যাগ করে তখন কফি বিনস গুলো আস্ত থাকে। বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় পরিশুদ্ধ করে কপি লুওয়াক তৈরি করা হয়।
আরও পড়ুন: সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনা এখনও প্রধানমন্ত্রী : রুমিন ফারহানা
ফিনকা এল ইনজার্টো কফি। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ৫ হাজার ৫০০ ফুটেরও উঁচুস্থানে গুয়েতেমালার কফির চাষ করা হয়ে থাকে। ৫০০ ডলার পার পাউন্ড হিসেবে বিক্রি করা হয় পৃথিবীর এই ফিনকা এল ইনজার্টো নামের কফি।
সেন্ট হেলেনা কফি। আটলান্টিক এর দক্ষিণে সেন্ট হেলেনার ছোট দ্বীপে এই কফি চাষ করা হয়। বিরল আর লোভনীয় স্বাদের এ কফি বিক্রি হয় ১৪৫ ডলার প্রতি পাউন্ড।
মলোকাই কফি। এটি হাওয়াই এর ছোট দ্বিপ হয়ে থাকে। হাওয়াইয়ের আগ্নেয়গিরির মাটিতে এই কফির চাষ করা হয়ে থাকে। পৃথিবীর এই দামি কফি প্রতি পাউন্ড ৬০ ডলারে বিক্রি করা হয়।
এসি/কেবি